Borobudur
In July 1927, Rabindranath Tagore sailed from Chennai towards Bali and Java, several distinguished traveling companions in tow. One of them, the linguist Suniti Kumar Chatterjee, wrote an account titled Dwipamay Bharat (“An India Made of Islands”; the name Indonesia in fact deriving from the Latin Indus for the lands around that river, and the Greek nesos, meaning island ). We also have the poet's own account in Java Jatrir Patra (The Letters of a Traveller to Java, original in Bengali here), collected in the volume Jatri (Traveler). He returned in October 1927, taking a boat to Kolkata from Penang. This was a time when crossing the Bay of Bengal by steamship took a week.
Rabindranath was Asia's first Nobel laureate, and as such a guest of distinction for local potentates wherever he went. Barring a few discordant moments, the tour was solemnly highbrow, made up with visits to Borobudur in Java, with discourses on the Mahabharata with the Raja of Gianyar in Bali, and such. Rabindranath lectured extensively, cut ribbons on roads and bridges (one named after him), and managed to compose only 18 poems or songs in the 18 weeks he was traveling away from India -- the most attenuated production of his adult life. From Rabindranath's own account, he was distracted and exhausted by his packed tour schedule (he was 66 years old at this time.)
In undertaking the trip, Rabindranath Tagore's immediate purpose was to raise funds for Visva Bharati, his perennially impoverished ashram and multiversity at Shantiniketan. He was met with a generous response, especially from the expatriate Indian communities, though what they got in the lectures was, as was usual from Tagore, political and social criticism "at $700 a scold." Rabindranath's trip had been financed by Marwari businessmen like Ghanashyamdas Birla and Narayandas Bijoria, who were interested in reviving India's links with influential people in Southeast Asia through the prise of Indian high culture.
Rabindranath himself evinces the same motive, though in a more latent way. His letters are filled with anguish about the exercise of European (Dutch) power over the East Indies, thoughts on why India in modern times is not able to exercise such power over the world, and also what the right form the proper exercise of power might take.
য়ুরোপ সর্বদেশ সর্বকালকে-যে স্পর্শ করেছে সে তার কোন্ সত্য দ্বারা? তার বিজ্ঞান সেই সত্য। তার যে-বিজ্ঞান মানুষের সমস্ত জ্ঞানের ক্ষেত্রকে অধিকার করে কর্মের ক্ষেত্রে জয়ী হয়েছে সে একাট বিপুল শক্তি। এইখানে তার চাওয়ার অন্ত নেই, তার পাওয়াও সেই পরিমাণে। গত বছর য়ুরোপ থেকে আসবার সময় একটি জর্মন যুবকের সঙ্গে আমার আলাপ হয়। তিনি তাঁর অল্পবয়সের স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভারতবর্ষে আসছিলেন। মধ্যভারতের আরণ্য প্রদেশে যে-সব জাতি প্রায় অজ্ঞাতভাবে আছে দুবৎসর তাদের মধ্যে বাস করে তাদের রীতিনীতি তন্ন তন্ন করে জানতে চান। এরই জন্যে তাঁরা দুজনে প্রাণ পণ করতে কুণ্ঠিত হন নি। মানুষসম্বন্ধে মানুষকে আরো জানতে হবে, সেই আরো জানা বর্বর জাতির সীমার কাছে এসেও থামে না। সমস্ত জ্ঞাতব্য বিষয়কে এইরকম সংঘবদ্ধ করে জানা, ব্যূহবদ্ধ করে সংগ্রহ করা, জানবার সাধনায় মনকে সম্পূর্ণ মোহমুক্ত করা, এতে করে মানুষ যে কত প্রকাণ্ড বড়ো হয়েছে য়ুরোপে গেলে তা বুঝতে পারা যায়। এই শক্তি দ্বারা পৃথিবীকে য়ুরোপ মানুষের পৃথিবী করে সৃষ্টি করে তুলছে। যেখানে মানুষের পক্ষে যা-কিছু বাধা আছে তা দূর করবার জন্যে সে যে-শক্তি প্রয়োগ করছে তাকে যদি আমরা সামনে মূর্তিমান করে দেখতে পেতুম তা হলে তার বিরাট রূপে অভিভূত হতে হত।
এইখানে য়ুরোপের প্রকাশ যেমন বড়ো, যাকে নিয়ে সকল মানুষ গর্ব করতে পারে, তেমনি তার এমন একটা দিক আছে যেখানে তার প্রকাশ আচ্ছন্ন। উপনিষদে আছে, যে-সাধকেরা সিদ্ধিলাভ করেছেন—তে সর্বগং সর্বতঃ প্রাপ্য ধীরা যুক্তাত্মানঃ সর্বমেবা-বিশন্তি; তাঁরা সর্বগামী সত্যকে সকল দিক থেকে লাভ করে যুক্তাত্মভাবে সমস্তের মধ্যে প্রবেশ করেন। সত্য সর্বগামী বলেই মানুষকে সকলের মধ্যে প্রবেশাধিকার দেয়। বিজ্ঞান বিশ্বপ্রকৃতির মধ্যে মানুষের প্রবেশপথ খুলে দিচ্ছে; কিন্তু আজ সেই য়ুরোপে এমন একটি সত্যের অভাব ঘটেছে যাতে মানুষের মধ্যে মানুষের প্রবেশ অবরুদ্ধ করে। অন্তরের দিকে য়ুরোপ মানুষের পক্ষে একটা বিশ্বব্যাপী বিপদ হয়ে উঠল। এইখানে বিপদ তার নিজেরও। ...
এই পৃথিবীতে মানুষ যদি একেবারে মরে তবে সে এইজন্যেই মরবে—সে সত্যকে জেনেছিল কিন্তু সত্যের ব্যবহার জানে নি। সে দেবতার শক্তি পেয়েছিল, দেবত্ব পায় নি। বর্তমান যুগে মানুষের মধ্যে সেই দেবতার শক্তি দেখা দিয়েছে য়ুরোপে। কিন্তু সেই শক্তি কি মানুষকে মারবার জন্যেই দেখা দিল? গত য়ুরোপের যুদ্ধে এই প্রশ্নটাই ভয়ংকর মূর্তিতে প্রকাশ পেয়েছে। য়ুরোপের বাইরে সর্বত্রই য়ুরোপ বিভীষিকা হয়ে উঠেছে, তার প্রমাণ আজ এশিয়া আফ্রিকা জুড়ে। য়ুরোপ আপন বিজ্ঞান নিয়ে আমাদের মধ্যে আসে নি, এসেছে আপন কামনা নিয়ে। তাই এশিয়ার হৃদয়ের মধ্যে য়ুরোপের প্রকাশ অবরুদ্ধ।
জাভায় যাত্রাকালে এই-সমস্ত তর্ক আমার মাথায় কেন এল জিজ্ঞাসা করতে পার। এর কারণ হচ্ছে এই যে, ভারতবর্ষের বিদ্যা একদিন ভারতবর্ষের বাইরে গিয়েছিল। কিন্তু সেই বাইরের লোক তাকে স্বীকার করেছে। তিব্বত মঙ্গোলিয়া মালয়দ্বীপসকলে ভারতবর্ষ জ্ঞানধর্ম বিস্তার করেছিল, মানুষের সঙ্গে মানুষের আন্তরিক সত্যসম্বন্ধের পথ দিয়ে। ভারতবর্ষের সেই সর্বত্র-প্রবেশের ইতিহাসের চিহ্ন দেখবার জন্যে আজ আমরা তীর্থযাত্রা করেছি। সেই সঙ্গে এই কথাও দেখবার আছে, সেদিনকার ভারতবর্ষের বাণী শুষ্কতা প্রচার করে নি। মানুষের ভিতরকার ঐশ্বর্যকে সকল দিকে উদ্বোধিত করেছিল,—স্থাপত্যে ভাস্কর্যে চিত্রে সংগীতে সাহিত্যে। তারই চিহ্ন মরুভূমে অরণ্যে পর্বতে দ্বীপে দ্বীপান্তরে, দুর্গম স্থানে, দুঃসাধ্য কল্পনায়। সন্ন্যাসীর যে-মন্ত্র মানুষকে রিক্ত করে নগ্ন করে, মানুষের যৌবনকে পঙ্গু করে, মানবচিত্তবৃত্তিকে নানাদিকে খর্ব করে, এ সে মন্ত্র নয়। এ জরাজীর্ণ কৃশপ্রাণ বৃদ্ধের বাণী নয়, এর মধ্যে পরিপূর্ণপ্রাণ বীর্যবান যৌবনের প্রভাব।
Through what Truth has Europe has touched all places and all times? That Truth is her Science. Her Science, which has occupied all the domains of Knowledge and thence won in all the domains of Action, is an enormous power. In this way, there is no end to her Wanting, and her Getting is in the same proportion. Last year when returning from Europe I became acquainted with a young man from Germany. He was coming to India with his young wife. For two years, he would be spending time amongst the tribes who live unknown to the outside world in the forests of Central India, and look in every nook and cranny of their customs. To this end, the couple are not shy to risk their lives. Man must learn more about Man, that learning does not stop at the boundary of barbarian tribes. To organize and learn all that can be learnt, to encircle and collect, to free minds from all other infatuations in the pusuit of Knowledge -- when one goes to Europe one realizes how enormous Man has become in being able to do these. Through this power Europe has made the World into a World of Man. If we were to be able to visualize the Power that has been applied to remove all the obstacles that confront Man, we would be overwhelmed by the enormity of that Manifestation.
In this aspect the light that Europe shines is enormous, something that every Man can be proud of; but there is another aspect in which Europe's light is occluded. The Upanishads say - The Seekers who have Found, enter the all-encompassing Truth in an union of the soul with Everything. Truth goes everywhere, in so going lets Man the right to enter thence. Science has let Man into World-Nature, but today in Europe there is the lack of a Truth that hinders Man enter inside Man. From the standpoint of Interiority, Europe has become an world-encompassing menace to Man. And in this she is a menace too, to herself ... If Man becomes extinct from this world, he will become so because he knew the Truth, but not how to rightly use the Truth. He got the power of the Gods, not Godliness. In the present age the power of the Gods has appeared in Europe; but did that power appear only to the end of taking human lives? In the last war, this question arose in a frightening form. Outside Europe, Europe has become a horror, the proof of this today lies all across Asia and Africa. Europe has not come amongst us with her Science, she has come with her Desire. Thus, Europe's entry into Asia's heart is blocked.
You may ask why all these questions came to my mind before embarking for Java. The reason is, India's learning had in one age gone outside India. And that learning was accepted by the peoples outside. In Tibet, in Mongolia, in the islands of Malaya -- India had spread the Dharma of Knowledge, through a path of heartfelt connection of Man and Man and Truth. Today we are embarking on a pilgrimage to see the signs of the history of that all-enveloping entry of India. And, at the same time, it is to be seen that the Idea India propagated in that day was not one of barrenness. India had inspired the inner bounty of Man -- in architecture, sculpture, art, music and literature. The signs of that inspiration remain in deserts, in forests, in mountains, in island upon far-flung island, in remote places and in impossible imaginings. This inspiration was not the ascetic's mantra that empties Man and strips him naked; that cripples his Youth, that diminishes in many ways his natural self and wishfulness. This was not a message of an age-worn shrunken-hearted old man, in this message was the influence of a tremendous youthfulness, full of life and of virility.
Upon encountering the Inner Bounty of Man in Java, though, Tagore had to admit that he did not care for the architecture of Borobudur: it seemed to him to have no proportion or integral form, being merely a hodge-podge of Buddhist lore and iconography. He revised his initial aversion over the weeks and months; later, he was inspired to even write a poem titled “Borobudur”.
In the poem (Bengali original here), he starts:
That dawn, too, the sun had risen thus in the sky --
The forest murmured in greeting below.
Craving a touch of the blue mist, above
The mountains had seemed an image dreamt by the earth.
At the edge of the coconut woods, some king
meditative-eyed, had sat alone
Exuberant had arisen an endless desire, his own
prayer mantra to send to the end of all time.
From what courage had this wish come?
He continues (I paraphrase): Blending with the surrounding forests and farmland -- a great text inscribed in the stone -- to be read with joy by all people in all ages. The island holds the inscription to its heart, the mountain raises it to the skies, the farmer sows and reaps rice by the river. Through all the changes in the world and through the shadow-play of time, the text in stone sounds the same mantra: “I thus take resort to the Buddha”.
Today, uncomprehending hordes come to trample up and down the stone. Greedy, seeking only to possess, always dissatisfied, hearts withered with pride -- they come, pointlessly, only to watch and to take, their hands empty of offering. The earth trembles beneath the joyless rush of their ever-speeding desire, their headlong hunt for the trophy, across this road and that, ultimately reaching nowhere, the flame of their all-devouring hunger demanding as sacrificial offering infinite accomplishment and endless accumulation. The day will come when the only way to become free again will be to come back in humble pilgrimage to this bank of silent stone, and raise to the heavens across the span of endless time that same undying mantra of love: "I thus take resort to the Budhha."
0 Comments:
Post a Comment
<< Home